Homeসব খবরজেলার খবরঅরেঞ্জ ভ্যালিতে পর্যটকদের ভিড়, বাগানের এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে...

অরেঞ্জ ভ্যালিতে পর্যটকদের ভিড়, বাগানের এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

ভ্রমন পিপাসু পর্যটকদের কাছে যেমন দার্জিলিং-এর চা আর কমলা বাগান আকর্সনীয় দর্শনীয় স্থান তেমনি হিমালয়ের পাদদেশের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার মালঞ্চা গ্রামও পর্যটকদের কাছে দর্শনীয় স্থান হতে চলেছে। গত বছর থেকে ফেসবুকের বদৌলতে ভাইরাল হওয়া এই কমলা বাগান মুখরিত থাকে হাজার হাজার দর্শকের পদচারনায়।

ঘটনার শুরু দশ বছর আগে, স্থানীয় বিএডিসি কর্মকর্তারা, তাদের কন্ট্রাক গ্রোয়ার্স আবু জাহিদ জুয়েলকে আম বাগানের সাথে মিশ্র ফল হিসেবে দার্জিলিং জাতের এই কমলার চারা রোপনের অনুরোধ করেন। সরকারী প্রকল্পের চারা নষ্ট না করে রোপনও করেন তিনি। ফলে দু’বছর পর থেকেই তিনি আম বিক্রির পর কমলাও বিক্রি করে আসছেন। কিন্তু গত বছর আম গাছ কেটে শুধু কমলা উৎপাদনে মনোযোগী হওয়ায় ফেসবুকের বদৌলতে ভাইরাল হয় বাগানটি।

আর এখন যেন হাজার হাজার দর্শনার্থীর পদচারনায় মুখরিত জুয়েলের এই কমলা বাগান। প্রবেশের টিকেট, আগত যাবাহনের তদারকী, কমলা, চাসহ অন্যান্য পন্য সামগ্রী বিক্রি নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন সফল এই কৃষি উদ্যোগতা। দার্জিলিং নয়, ভ্রমন পিপাসু মানুষের কাছে জেলার পীরগঞ্জের মালঞ্চা গ্রাম এখন ‘ওরেঞ্জ ভেলী’। এখানে গাছে গাছে দার্জিলিং জাতের বড় বড় পাকা কমলা ঝুলছে থোকায় থোকায়। কমলার ভারে হেলে পড়েছে গাছের ডালপালা। সমতল ভুমিতে কমলা বাগানের এমন নয়নাভিরাম দৃশ্যের দেখা পেয়ে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটক আসছেন বাগানে।

সংগৃহীত ছবি

অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এখানে। বাগানে সার, সেচ ও কীটনাশকের ব্যাবহার পরিমিত। মিষ্টি এবং রসালো এ কমলা বাগানেই বিক্রি হচ্ছে ৩ শত টাকা কেজি দরে। অনেকে বাগানেই খাচ্ছে এবং বাড়ির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন ঝুরি ভরে। এবছর আড়াই শ গাছ থেকে বছরে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার কমলা বিক্রি হবে বলে আশা করছেন কৃষি উদ্যোক্তা জুয়েল।

আবু জাহিদ জুয়েল বলেন এটা আমার এগ্রো ট্যুরিজম। দার্জিলিং-এ কমলা চাষের সঙ্গে ট্যুরিজমের একটা সম্পর্ক আছে । আমাদের এলাকাতেউ মানুষ এই কমলা উৎপাদন দেখবে, গাছ থেকে পেরে ফল খাবে তাই ইতোমধ্যে এই বাগানকে ট্যুরিজমে পরিনত করেছি।

কমলা চাষ একটি লাভ জনক ফসলের পাশাপাশি পর্যটকদের কাছে দর্শনীয়ও বটে। এটি সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দিলেন স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ নইমুল হুদা সরকার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহরিয়ার নজির বললেন, কৃষি ক্ষেত্রে উদভাবনী কর্মকান্ডকে আমরা সবসময় উৎসাহিত করি। সব ধরনের সহায়তা আমরা করবো।

Advertisement