Homeসব খবরবিনোদনঅনেক শ্রম দিয়ে আজকে এই অবস্থানে : বাবু

অনেক শ্রম দিয়ে আজকে এই অবস্থানে : বাবু

ফজলুর রহমান বাবু, বাংলাদেশের নাটক ও সিনেমার এমন একজন ভার্সেটাইল অভিনেতা- যাকে নিয়ে নির্মাতারা কাজ করতে সবসময়ই ভীষণ আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। বিশেষত সিনেমার কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তার উপস্থিতি থাকা মানেই হলো সেই সিনেমার জন্য আশীর্বাদ। একটা সময় ফজলুর রহমান বাবু ব্যাংকে চাকরি করতেন। কিন্তু অভিনয়ের প্রতি তার এতই ধ্যান জ্ঞান ও দর্শকের ভালোবাসায় বাবু অভিনয়ে নিজেকে এমন একটি অবস্থানে নিয়ে আসেন, চাকরি ছেড়ে দিয়ে অভিনয়েই নিয়মিত হয়ে উঠেন।

বাবুর সমসাময়িককালে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তার সমসংখ্যক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও কেউ অর্জন করতে পারেননি। এখন পর্যন্ত তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। দিন দিন অভিনয়ে তিনি চরিত্রের সাথে মিশে গিয়ে এতটাই প্রাণবন্ত হয়ে উঠছেন যে, কেউ তার চরিত্রগুলোতে তার বিকল্প কাউকে ভাবারও অবকাশ পান না। আর তাই একটি ওটিটি প্ল্যাটফরমের জন্য নতুন সিনেমায় এবং সরকারি অনুদানের সিনেমার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তিনি কাজ করছেন। সত্য এই যে দু’টি সিনেমার গল্প তিনি পড়েছেন, চরিত্র দু’টি তার ভালো লেগেছে বিধায় তিনি নতুন দু’টি সিনেমায় কাজ করতে যাচ্ছেন।

ওটিটি প্ল্যাটফরমের জন্য অনম বিশ্বাস নির্মাণ করতে যাচ্ছেন দুই দিনের দুনিয়া এবং সরকারি অনুদানের অনিরুদ্ধ রাসেল নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ‘জামদানি’ নামে একটি সিনেমা। দু’টি সিনেমায় অভিনয় করা প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান বাবু বলেন, দর্শকের ভালোবাসায় প্রতিনিয়ত সিক্ত হচ্ছি সিনেমাতে, নাটকে অভিনয় করে। তবে হ্যাঁ, এটি সত্যি- আজকের এ অবস্থানে আসার পেছনে আমার নিজেকেও অনেক শ্রম দিতে হয়েছে। আমার কাজের প্রতি দর্শকের আস্থা জন্মেছে। তাই এখন যখন সিনেমাতে কাজ করতে যাই তখন তো আসলে গল্প ও চরিত্র আমার খুব ভালোলাগাটা ভীষণ জরুরি। সেই সাথে পরিচালক ও সহশিল্পীর বিষয়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দুই দিনের দুনিয়া এবং জামদানি- এই দু’টি নতুন সিনেমায় আমি যেসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করি তার উপস্থিতি আমার মনের মতো।

তাই দু’টি সিনেমায় কাজ করছি। আশা করছি ভালো কিছু হবে। ফজলুর রহমান বাবু ‘শঙ্খনাদ’, ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’, ‘গহীন বালুচর’, ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ও ‘বিশ^সুন্দরী’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। সিনেমাগুলো যথাক্রমে পরিচালনা করেছেন আবু সাইয়ীদ, নাদের চৌধুরী, বদরুল আনাম সৌদ, তৌকীর আহমেদ ও চয়নিকা চৌধুরী।

Advertisement