গতকাল (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকেই ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়টির নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে খণ্ডকালীন পাঠদান শুরু করেছেন বৃন্দাবন দাস। টিভি নাটক ও টিভি প্রোডাকশনের বেশ কিছু বিষয় পড়াবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অভিনেতার স্ত্রী অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অভিনেতা হিসেবে বেশ সুপরিচিত বৃন্দাবন দাস। অভিনয়ের পাশাপশি নাট্যকার হিসেবে জনপ্রিয়। লিখেছেন একাধিক জনপ্রিয় নাটকের গল্প। তার গল্পের মূল উপজীব্য ছিল এদেশের গ্রাম। এই অভিনেতা ও নাট্যকার এবার সামনে এসেছেন নতুন পরিচয়ে। নাটকে নয়, বাস্তবেই তিনি পথচলা শুরু করেছেন শিক্ষক হিসেবে।
বৃন্দাবনের অনেক আগে থেকেই শিক্ষকতা করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু তিনি ব্যস্ত হয়ে গেলেন নাটক লেখায়। পরবর্তীতে পাশাপাশি শুরু করলেন অভিনয়। এবার তার ইচ্ছা পূরণ হলো। প্রথম দিনই শ্রেণিকক্ষে বৃন্দাবন দাসকে পেয়ে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা। একটি গণমাধ্যমকে বৃন্দাবন বলেন, ‘শিক্ষকতার সুযোগ পেলাম। এক সেমিস্টার পড়াতে হবে। পড়াব, এই অনুভূতিটা অন্য রকম। তাঁদের নানা কৌতূহল আমার ভালো লেগেছে। কতটুকু তাদের শেখাতে পারব, সেটাই মাথায় ঘুরছে। তবে নিজেকে শিক্ষক বলব না মেন্টর হিসেবেই আমি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকব।’
নাট্যকার হিসেবে জনপ্রিয় বৃন্দাবন দাস। তার লেখা অনেক নাটক পেয়েছে জনপ্রিয়তা। যার মধ্যে রয়েছে ‘সাকিন সারিসুরি’, ‘আলতা সুন্দরী’, ‘ঘরকুটুম’, ‘গরু চোর’, ‘ঢোলের বাদ্য’, ‘পত্র মিতালী’, ‘কবুলিয়তনামা’র মতো নাটক। অভিনয় করেও প্রশংসা পেয়েছেন এই গুণী চিত্রনাট্যকার। পাবনা থেকে ১৯৯৫ সালে ঢাকায় এসে মঞ্চ নাটকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। আরণ্যক নাট্যদলে অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক লিখতে শুরু করেন বৃন্দাবন। ১৯৯৭ সালে লেখেন প্রথম নাটক ‘বন্ধুবরেষু’। নির্মাতা ছিলেন সাইদুল আনাম টুটুল। এরপর থেকে দুই যুগেরও বেশি নাটক লিখে চলেছেন এই চিত্রনাট্যকার।