আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। কম খরচে উৎপাদন করে বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে তিল চাষে চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে। কম শ্রম এবং কম খরচে সব ধরণের মাটিতে উৎপাদন হওয়ায় তিল চাষে আগ্রহ বাড়ছে মেহেরপুর জেলার চাষিদের। চলতি মৌসুমে প্রায় ১ শত হেক্টর জমিতে তিল চাষ করা হয়েছে। চলিত মৌসুমে বীজ সহায়তা হিসেবে চাষিদের মাঝে তিলের বীজ প্রদান করা হয়।
তিল চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমন আবাদের পর ক্ষেত যখন খালি থাকে তখন তিল চাষ করা যায়। এতে ধানের কোন ক্ষতি হয় না। তিল চাষে সার ও কীটনাশক লাগে না বললেই চলে। গরু ছাগলে তিল খায় না তাই রক্ষণাবেক্ষণে কোন খরচ হয় না।
গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের তিল চাষী জাহিদুল হাসান বলেন, ৩ বছর ধরে তিল চাষ করছি। চলতি মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে তিল চাষ করেছি। সামান্য শ্রম ও অল্প খরচে প্রতি বিঘায় ৫ থেকে ৬ মণ ফলন মেলে। তিলে কোন রোগবালাই না হওয়ায় কীটনাশকের দরকার হয় না। ১ বিঘা জমিতে তিল চাষ করে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাভ করা যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, আমরা উন্নত মানের তিল বীজ চাষিদের মধ্যে সরবারহ করে তিল চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। এ এলাকায় তিল চাষ প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল। চাষিদের উদ্বুদ্ধ করায় এবার অর্থকরী ফসল হিসেবে গত বারের চেয়ে তিল চাষ বেশি হয়েছে।